আত্মহত্যা: কিভাবে ঠেকানো যায়, আর আমাদের ভূমিকা
আত্মহত্যা থামানোর জন্য কি করা যায়, শিক্ষক, ছাত্র (পড়ুন বন্ধু) এবং কর্মচারী হিসেবে - এই বিষয়ে ১লা জুলাই একটা ওয়ার্কশপ হলো William & Mary তে। আমেরিকায় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ আত্মহত্যা। প্রতি বছর প্রায় ৪৫,০০০ শিক্ষার্থী মারা যায় আত্মহত্যা করে! বাংলাদেশেও প্রায় ৬৫লাখ মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে। প্রতিদিন প্রায় ২৯জন মারা যাচ্ছে বাংলাদশে আত্মহত্যা করে। উইলিয়াম মেরি তো আরেক কাঠি বাড়া - পরিচিতই ছিলো Suicide School হিসেবে!
বর্তমানে অবশ্য ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে - উইলিয়াম মেরি এখন আমেরিকায় আন্ডারগ্রেড লেভেলে অনেক কেয়ারিং স্কুল হিসাবে র্যাংকিং এ আসে নিয়মিতই। তার উপরে উইলিয়াম মেরির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে সুখী শিক্ষার্থী আমেরিকায় - এমন র্যাংকিং তো আছেই ! অনেকগুলো পদক্ষেপের মাঝে ওরা যেটা করে সেটা হলো নিয়মিত আত্মহত্যা ঠেকানো (সুইসাইড প্রিভেনশন) বিষয়ে ওয়ার্কশপ করে। ওয়ার্কশপ নেন সাইকোলোজিস্টরা, আর শিক্ষকতা লাইনে যারা আছেন তারা মিলে। আমার এটায় এটেন্ড করার জন্য আরো বেশি আগ্রহ ছিলো কারণ আমি ব্যক্তিগত ভাবে অন্ততঃ তিনজনকে চিনি যারা কোন না কোন সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছে। আরো বেশি চেয়েছি কারণ বাংলাদেশে প্রায়ই শুনি মানুষ আত্মহত্যা করেছে - কোন না কোন কারণে। আত্মহত্যা হবার পরে অনেক আহা উহু ইত্যাদি জানতে পারলেও আত্মহত্যার অশনিসংকেত কি, কি দেখে বুঝা যেতে পারে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে, এবং কিভাবে তাকে সাহায্য করা যায় - এ বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকেই যাওয়া।