Installing Ubuntu in NVidia Optimus / Prime Laptop - Acer Nitro 5
Got anything like Try Ubuntu Freezes, Try Kubuntu Freezes, Ubuntu Nvidia Prime, kubuntu dell smbios unable to tun on non dell system for installing? You might try this.
Got anything like Try Ubuntu Freezes, Try Kubuntu Freezes, Ubuntu Nvidia Prime, kubuntu dell smbios unable to tun on non dell system for installing? You might try this.
ঘুম থেকে উঠেই তড়াক করে রেডি হতে গেলাম। হিসাব করে দেখলাম খাওয়ার সময় নেই, কারন অপিরিচিত জায়গা, সব বুঝে শুনে উঠতেই সময় চলে যাবে। কনফারেন্স ব্রেকফাস্ট দিবে, কাজেই ওটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করলেও চলে। বাসা থেকে ব্লেজার এনেছিলাম, কিন্তু তাপমাত্রার অবস্থা দেখে বুঝলাম ওটা পরে যাওয়া যাবে না, ঘেমে নেয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হবে। সুতরাং শার্ট প্যান্ট পরেই দৌড়।
আমি যে হোস্টেলে উঠেছি সেটা বেশ পরিচিত। হাজার খানেক ৫ তারা পেয়েছে আমার আগের অভিযাত্রীদের থেকে। তো ওখানে ঢুকে নাম ঠিকানা বলে বুকিং অনুসারে রুমের চাবি নিলাম। তার পরেই প্রশ্ন, ইন্টারনেট লাগবে? হু বলতেই একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো যেটায় পাসওয়ার্ড লেখা। পাসওয়ার্ড এর বাংলা করলে দাঁড়ায়, “তুমি অনেক অনেক লক্ষী”। রিসেপশনে যিনি ছিলেন এমনিতেই তার ব্যবহার অসাধারণ। আমিও সুন্দর করে তাই বলে দিলাম, তুমি অনেক অনেক লক্ষী! রুমে ঢুকে দেখি সিস্টেম বেশ মজার। আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল একটা কাগজে আমার নাম আর কত তারিখে চলে যাবো সেটা লিখে দিয়ে যে রুমে গিয়ে প্রথম কাজ কি হবে। রুমে ১৬টা বিছানা, দুই স্তরে থাক করে। প্রতি বিছানার সাথে একটা সংখ্যা দেয়া, সংখ্যার পাশে ওই কাগজ রাখার জায়গা। সেই একই সংখ্যা লেখা একটা ট্রাংক ও আছে, তালা মারা যায়। যে বিছানা কেউ দখল করতে চায় সে দেখে আগে ওই বিছানায় কেউ আগেই কাগজ দিয়েছে নাকি। না দিলে সে কাগজ রেখে দিলেই অন্যরা বুঝে যাবে এটা দখল করা বিছানা, ওই তারিখ পর্যন্ত। আমিও সুন্দর করে একটা খালি বিছানা দখল করে ফেললাম, সেখানের ট্রাংক এ নিজের লাগেজ রেখে তালাও মেরে দিলাম। আগেই ওরা বিছানার আর কম্বলের চাদর দিয়ে দিয়েছিল, সেগুলো বিছিয়ে রেখে বার হলাম ঘর থেকে।
স্টকহোম থেকে গোটেবর্গ (লোকাল উচ্চারণ) আসার জন্য উঠেছিলাম SAS এর প্লেনে। এদের প্লেনে আবার ক্লাসিফিকেশন আছে লোকাল ফ্লাইটেও। যেমন SAS plus একাউন্ট থাকলে লাইনে আপনাকে আগে ঢুকতে দিবে, প্লেনের ভিতরে লেখা থাকবে এই সিটগুলো প্লাসের। আবার খাবারও ওদের বেশি বেশি দিবে। তো উঠার আগে লোকাল টার্মিনালের লাউঞ্জে বসে ছিলাম। ওখানেই দেখলাম 100% গ্রিন পাওয়ার। এরা যে কি পরিবেশ সচেতন বলা যাবে না। যাকগে, আমি প্লাস ছিলাম না বলে আমার প্লেনে কফি খেয়েই সারতে হয়েছে। সাধারণত ডোমেস্টিক ফ্লাইটে ছোট প্লেন ব্যবহার করে, আর ছোট প্লেন বেশি কাঁপে বলে আমার বরাবরই বেশ ভয় লাগে। এই প্লেনটা টেক অফ করার সময় চালকের মুন্সিয়ানার বেশ খুশি হলাম, বাহ - ভালো চালায় তো। কাপাকপি নাই। আগে শুনেছিলাম SAS এর পাইলটরা ক্রেজি, কথাটা অমূলক। ভাবতে না ভাবতেই প্লেন দিলো ডানদিকে টান। এমন টান যে মনে হলো পড়েই যাবো আরেকটু হলে। করে কি করে কি, ভাবতে ভাবতে নীচে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। এমনিতেই সুইডেনে গাছপালায় ভর্তি। একটু উপরে উঠলেই গাছ আর গাছ। সেখানে দেখি বেশ সুন্দর এক একটা বিশাল লেক পার হয়ে যাচ্ছি। আবারও গোটেবর্গ এর কাছে গিয়ে টান মারা অংশটা বাদ দিলে আর তেমন কোন কিছু হয়নি।
এখানে আকাশ পথে আসার সময় যথারীতি কি পান করবো জিজ্ঞাসা করলে আমার উত্তর আপেল জুস আর আমের জুসেই ছিল।
দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ আপেলের জুসের গ্লাস ফুটা ছিল, খেয়াল করিনি, প্যান্ট গেল ভিজে। পরে টিস্যু দিয়ে ডলাডলি করে সেরেছি। গরম বাতাসে শুকানোর ব্যবস্থা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করায় এরা উত্তর দিলো আছে, কিন্তু হয় তোমার উপরে ঝুলে থাকতে হবে, নাহলে প্যান্ট খুলে উপরে ঝুলাতে হবে। দুঃখজনক ভাবে একটাও পছন্দ হয়নি। তবে এরা অনেকবার দুঃখ প্রকাশ করে টিস্যু সাপ্লাই দিয়েছে বলে আর কিছু বলি নাই।